নিচের পোস্টটি লিখেছেন রানা শাকুর ভাইয়া তার ফেসবুক প্রোফাইলে।
দুআ তে শব্দচয়ন কেন জরুরি।
একবার রাসূল্লাল্লাহ ﷺ এক ব্যক্তিকে দেখতে এলেন। রোগে সে ব্যক্তি একেবারে চড়ুই পাখির বাচ্চার ন্যায় ক্ষীণ হয়ে গেছে।
রাসূল্লাল্লাহ ﷺ লোকটিকে বললেন, তুমি কি রবের কাছে নির্দিষ্ট করে কোন কিছু প্রার্থনা করেছ?
সে বলল, আমি দু’আয় বলে থাকি “হে আল্লাহ! আপনি আখিরাতে আমাকে যে শাস্তি দিবেন দুনিয়াতেই আপনি আমাকে সত্বর তা দিয়ে দিন।”
রাসূল্লাল্লাহ ﷺ বললেন, সুবাহান আল্লাহ! তুমি তো তা বইতে সক্ষম নও এবং তা সহ্য করতে পারবে না। তুমি এই কথা কেন বললে না যে – “হে আল্লাহ! দুনিয়াতেও আপনি আমাকে কল্যাণ দিন, আখিরাতেও কল্যাণ দিন। আর আমাকে রক্ষা করুন জাহান্নামের আযাব থেকে।”
ইউসুফ ‘আলাইহি সালাম দীর্ঘ দিন জেলখানায় থাকার পর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন, “হে আমার রব, আপনি আমাকে দীর্ঘ দিন জেলে রেখেছেন।”
আল্লাহ তা’য়ালা উত্তর দিলেন তুমি জেলে যেতে চেয়েছিলে, তাই আমরা তোমাকে জেলে দিয়েছি। তুমি যদি কল্যাণ চাইতে তাহলে সেটাই তোমার জন্য নির্ধারিত করতাম।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’য়ালা পবিত্র কুরআন এ বলেন, “ইউসুফ বলল, হে আমার রাব্ব! এই নারীরা আমাকে যার প্রতি আহবান করছে তা অপেক্ষা কারাগার আমার কাছে অধিক প্রিয়।” [সূরা ইউসুফ :৩৩]
তাই আমরা যখন আল্লাহর কাছে চাইব, তখন শব্দচয়নে সাবধান অবলম্বন করব; কারণ শব্দচয়ন যথার্থ না হলে আমরা যা মঙ্গল মনে করছি তা হয়ত আমাদের জন্য পরীক্ষা বা আযাব হিসাবে কবুল হয়ে ফেরত আসবে। কারণ বান্দা যা চায় আল্লাহ তা’য়ালা তাই দেন।
Leave a Reply