নিচের পোস্টটি লিখেছেন শিবলী মেহদি ভাইয়া, তার ফেসবুক প্রোফাইলে।
দাওয়াতে মজার খাবারের উদাহরণ দেই। যার যার পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে, খাবার ছাড়া ভিন্ন কিছুও হতে পারে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে সমাধান একটাই।
দাওয়াতে কাচ্চি খেতে বসে দেখলেন খুবি মজার কাচ্চি, আলহামদুলিল্লাহ! এতো মজার যে, আপনার খুব ইচ্ছা হচ্ছে মজা করে খাওয়া শেষে কিছু কাচ্চি বাসায় নিয়ে যেতে যেনো আরেক বেলা মজা করে খেতে পারেন। কিন্তু আপনি হোস্টকে যদি বলেন, ❝সকলের খাওয়া শেষে যদি অতিরিক্ত কাচ্চি থাকে প্লিজ কিছুটা দিও, বাসায় গিয়ে আবার খাবো!❞
হোস্ট অবশ্যই এটা করতে চাইবে এবং তখন সম্ভাবনা আছে:
১/ হোস্টের নিজের বাসার সকলে কম করে খেয়ে হলেও মেহমানের ইচ্ছা পূরণ করবে। (কিন্তু মেহমান সেটা বুঝতে পারলে তারও খুব খারাপ লাগবে, লজ্জা লাগবে।)
২/ হোস্টের বাসার সকলে কম করে খেয়েও যদি দেয়ার মতো অতিরিক্ত কাচ্চি না থাকে তখন হোস্টের খুব খারাপ লাগবে যে, চেষ্টা করেও মেহমানের ইচ্ছা পূরণ করা গেলই না।
কিন্তু আপনি যদি হোস্টকে আপনার ইচ্ছাটাই না জানান, তাহলেও হতে পারে যে, অতিরিক্ত কাচ্চি থাকার পরেও হোস্ট নিজে থেকে কিছুই দিলেন না।
এমন পরিস্থিতিতে একটাই সমাধান। আল্লাহর কাছে দু’য়া করা, আল্লাহর কাছে চাওয়া। এতে কী কী হতে পারে?
১/ আল্লাহ যদি কবুল করেন তাহলে তিনি ঐ কাচ্চিতে বারাকাহ বাড়িয়ে দেবেন এবং কেউ কম খাবে না বরং সবাই মজা করে খাবে কিন্তু তারপরেও অতিরিক্ত কাচ্চি থাকবে।
২/ তারপর তিনি হোস্টের অন্তরে ইচ্ছা দিয়ে দেবেন যেনো তিনি গেস্টকে পর্যাপ্ত খাবার দিয়ে দেন।
৩/ এমন কি তিনি খাবারে এতোটাই বারাকাহ বাড়াবেন যে, যিনি এই দাওয়াতের কথা বা কাচ্চির কথা জানতেনই না এমন কারো কারো কাছেও ঐ কাচ্চি পৌঁছে দেয়ার চিন্তা ভাবনা হোস্টের অন্তরে আল্লাহ দিয়ে দেবেন।
এটা গেল আল্লাহ যদি কবুল করেন। কিন্তু যদি তিনি কবুল নাও করেন তাহলেও লাভ আছে।
১/ কিন্তু আল্লাহ যদি কবুল নাও করেন, তাহলেও একজন মুমিনের লস নাই। কারণ, শুধুমাত্র তাঁর কাছে দুয়া করার কারণে শেষ বিচার দিবসে তিনি এর বিনিময়ে অনেক অনেক সোয়াব দেবেন।
২/ কিংবা ঐ খাবারের চাইতে আরো উত্তম খাবার খাওয়াবেন।
৩/ কিংবা কোনো বিপদ হতে রক্ষা করবেন।
অর্থাৎ শুধুমাত্র তাঁর কাছে বৈধ জিনিষ চাওয়ার কারণে তিনি উত্তম কিছু না কিছু অবশ্যই দেবেন। কারণ দু’য়া করাটাই একটা ইবাদাত।
প্রয়োজন ছোট কিংবা বড় হোক, মানুষের কাছে চাইতে লজ্জা লাগলেও আল্লাহর কাছে চাইতে লজ্জা পাওয়া যাবে না। দু’য়া শুধু রবের কাছেই। তিনি চান যেনো আমরা তাঁর কাছেই চাই। কারণ তিনিই একমাত্র দেয়ার মালিক।
Leave a Reply