দুঃখ ও মুসিবতে ধৈর্যধারণ

ইবনু আবি হাতিমের রিওয়ায়েতে আছে, মুহাম্মাদ বিন ইসহাক বলেন, মালিক আল আশজায়ি রাসুলের ﷺ কাছে এসে বললেন, আমার ছেলে আউফ বন্দী হয়ে গেছে। রাসুল তাকে বললেন, ‘তোমার ছেলের কাছে এ কথার সংবাদ পাঠাও, রাসুল ﷺ তোমাকে বেশি বেশি লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পড়তে বলেছেন।’

কাফিররা তাকে চামড়ার দড়ি দিয়ে বেধে রেখেছিলো। হঠাৎ সেটা খুলে পড়ে গেল। তিনি বেরিয়ে এলেন। একটি উটনী দেখে তাতে চড়ে বসলেন। কিছুটা এগিয়ে দেখতে পেলেন শত্রুদের চারণভূমিতে তাদের পশুগুলো চড়ে বেড়াচ্ছে। তিনি একটি আওয়াজ দিলেন। গোটা পশুপাল তার পিছে পিছে চলতে লাগলো।

বাড়িতে বসে তার মা-বাবা চিন্তা করছিলেন। তারা হঠাৎ দরজায় তাদের ছেলে আউফের কন্ঠ শুনতে পেলেন। তার বাবা বলে উঠলেন, কা’বার রবের শপথ, এটা তো আউফের গলা! তারা উভয়ে এবং তাদের খাদেম দৌড়ে গিয়ে দরজা খুললেন। দেখতে পেলেন আউফ رضي الله عنه দাঁড়িয়ে আছেন। গোটা উঠান উট দিয়ে ভরে গেছে। তিনি তার বাবাকে সব খুলে বললেন। তার বাবা বললেন, তোমরা একটু দাঁড়াও, আমি রাসুলের কাছে জিজ্ঞেস করে আসি। রাসুলের কাছে পৌঁছে তিনি আউফ এবং উটের পালের বিবরণটি শোনালেন। রাসুল ﷺ তাকে বললেন,

“এগুলো নিয়ে যা ইচ্ছে করতে পারো। তুমি তোমার সম্পদেই হস্তক্ষেপ করছো।”

অতঃপর এ আয়াতটি নাজিল হলোঃ

“এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।” (সুরা আত তালাক, ৬৫ঃ ২, ৩)

[Reference] নববি তরবিয়ত – শাইখ জামাল আবদুর রহমান

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *