শিশুর সংশোধন – প্রশংসা ও উপদেশ

আব্দুল্লাহ ইবনু উমর رضي الله عنه বলেন, আমি ছিলাম অবিবাহিত এক যুবক। রাসুলের যুগে আমি মসজিদে ঘুমাতাম। একদিন স্বপ্ন দেখি দুজন ফিরিশতা এসে আমাকে ধরে জাহান্নামের দিকে নিয়ে চললো। আমরা আরেক ফিরিশতার সাথে সাক্ষাৎ করলাম। সে আমাকে বললো, ‘তোমাকে তো রক্ষা করা যাবে না।’ ইবনু উমর رضي الله عنه বলেন, হাফসার কাছে আমি ঘটনাটি খুলে বললাম। সে রাসুলের কাছে উপস্থাপন করলো। রাসুল ﷺ বললেন, ‘আব্দুল্লাহ তো উত্তম লোক। সে যদি রাতের কিছু অংশে সালাত পড়তো!’ রাসুলের এ কথা শোনার পর ইবনু উমর رضي الله عنه রাতে খুব অল্প সময়ই ঘুমাতেন। (বুখারি, মুসলিম)

রাসুলের ﷺ মুখে একটুখানি প্রশংসা ইবনু উমরের মনে কতটা উদ্দীপনা তৈরি করেছে যে তিনি রাতের অধিকাংশ সময় সালাতেই কাটিয়ে দিতেন!

ইমাম গাযালি রহিমাহুল্লাহ বলেন, শিশুর মাঝে যখন সুন্দর আচরণের প্রকাশ ঘটবে, ভালো কোনো কাজ তার দ্বারা সংঘটিত হবে তখন তাকে স্নেহ করা উচিত। পুরস্কার দিয়ে উৎসাহিত করা উচিত। মানুষের সামনে তার প্রশংসা করলে ভালো কাজের প্রতি সে আরও উৎসাহিত হবে।

আর যখন শিশুর থেকে এর বিপরীত কোনো আচরণ বা কাজ অর্থাৎ মন্দ কিছু তার দ্বারা সংঘটিত হবে এবং সে তা লুকাতে চেষ্টা করবে, তখন প্রথমে অভিভাবক দেখেও না দেখার ভান করবে। কাজটি যদি পুনরায় তার দ্বারা সংঘটিত হয় তাহলে সবার সামনে তাকে পাকড়াও না করে আড়ালে নিয়ে উপদেশ দেবে, মৃদু তিরস্কার করবে। এতে তার লাজ বজায় থাকবে এবং সে নির্লজ্জ হয়ে পড়বে না। তার কৃত মন্দ বিষয়টির দিকগুলো তাকে বুঝিয়ে বলবে। সঠিক বিষয়টি খুলে বলবে। আর পরে যেন এই কাজ না করে সে ব্যাপারে সতর্ক করবে। বলবে, আবার যদি এ কাজ করো, তাহলে সবাইকে জানিয়ে দেবো। (ইহইয়া উলুমিদ্দিন: ৩/৬৩)

[Reference] নববি তরবিয়ত – শাইখ জামাল আবদুর রহমান

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *